নামটা শুনেই বুঝতে পারছেন ক্রিমিনাল আর পুলিশের চিরাচরিত লড়াইয়ের আরেকটা মুভি। কিন্তু এখানে আসলে লড়াইটা হয় একতরফা। সেই গল্পও বলব। তবে তার আগে, একদম শুরু থেকে বরং শুরু করি।
মুম্বাই। ইন্ডিয়ার সবচেয়ে বিখ্যাত শহরগুলোর মধ্যে একটা। রঙিন বলিউড দুনিয়া আর আরব সাগরের তীরে একটুকরো স্বর্গের মত এই শহর। তবে এই রঙয়ের পাশাপাশি আছে আণ্ডারওয়ার্ল্ডের অন্ধকার রাজত্ব। আর তার পাশাপাশি রয়েছে জীবনের এক অন্যরকম অধ্যায়। এ এমন এক শহর, আজ এর নিয়ন্ত্রণে তো কাল আরেকজনের। কখনো পাঞ্জাবীরা তো কখনো অন্যকোন এক মাফিয়া ডন। ’৮০-র দশকের শেষের দিকে এরকমই এক ঘটনা নিয়ে এর পটভূমি। পাঞ্জাবীদের হাতে তৎকালীন মুম্বাই পুলিশের সাহসী অফিসার মারা যাওয়ার পর প্রতিশোধ ও সন্ত্রাসীদের শিক্ষা দেয়ার জন্য গড়ে তোলা হয় “অ্যান্টি টেররিস্ট সার্ভিস”- এটিএস। আর এর যাবতীয় দায়দায়িত্ব বর্তায় এসিপি শমশের খানের ওপর যার মূলমন্ত্রই হচ্ছে হয় মার নয় মর। ওদিকে মোস্ট ওয়ান্টেড গ্যাংস্টার মায়া রীতিমত যা খুশি তাই করে বেড়াচ্ছে শহরে। প্রথমে ভালভাবে বলার পরও কাজ না হওয়ায়, শেষ পর্যন্ত এসিপি খান ডিসিশন নিলেন যে এদেরকে সরাসরি এনকাউন্টার করতে হবে। এরপরই জমল খেলা।
একদিন ইনফরমারের দেয়া তথ্য অনুযায়ী একটি আবাসিক এলাকায় আবাসিক বাড়িতে লুকিয়ে থাকা মায়া সহ ৬ জন কে ঘিরে ফেলল পুলিশ। শমশের খান নির্দেশ দিলেন কোন কথা হবে না, খুন করার জন্য গুলি করতে হবে। সে মোতাবেক কাজ শুরু করল সবাই। গ্যাস সিলিন্ডারের বিস্ফোরণে সহকর্মী আহত হওয়ার পর শমশের নিজেই শুটআউটে অংশ নিলেন। এবং শেষ পর্যন্ত তার হাতেই মারা গেল “মায়া”। ততক্ষণে মায়ার বাকি সঙ্গীরাও মারা গেছে।
জনশ্রুতি আছে ওইদিন ওই শুটআউটে প্রায় ৩ হাজার গুলি খরচ করা হয়েছিল। এমনকি ওরা সারেন্ডার করতে চাইলেও পুলিশ মানতে চায়নি। মাত্র ৬ জনের জন্য প্রায় ৪০০ পুলিশ এই অপারেশনে অংশ নেয়। মুম্বাই আণ্ডারওয়ার্ল্ডের সাথে পুলিশের সবচেয়ে বড় যুদ্ধগুলোর মাঝে এটা একটা।
পরবর্তীতে প্রায় ৩ বছর এটিএস বহাল তবিয়তে অপারেশন করে গেলেও মুম্বাই বোমা হামলার পর বিলুপ্ত করে দেয়া হয় একে।
যারা ক্রাইম থ্রিলার পছন্দ করেন, তারা দেখতে পারেন মুভিটা।
পার্সোনাল রেটিং- ৭.৮
No comments:
Post a Comment