Tuesday, October 6, 2015

Black Mass (2015)


IMDB Rating: 7.6, Rotten Tomatoes: 76%
Cast: Johnny Depp, Dakota Johnson, Benedict Cumberbatch

সাপের মত ঠাণ্ডা দৃষ্টি - যেদিকে চোখ পড়লে মেরুদণ্ড বেয়ে হিমশীতল স্রোত বয়ে যায় নিমেষেই, পান থেকে চুন খসলেই মৃত্যু আর প্রশ্রয় পেতে পেতে নিজের কবর খুঁড়ে রাখা - মুভিটাকে সংক্ষেপে এভাবে বর্ণনা করা যেতে পারে।

জেমস "হোয়াইটি" বালজার। '৮০ ও '৯০-র দশকে সাউথ বোস্টনের ক্রাইম ওয়ার্ল্ড কন্ট্রোলার বলা যেতে পারে এই লোককে। ১৪ বছর বয়সে পুলিশের হাতে ধরা পড়া থেকে মোটামুটি শুরু তার ক্রিমিনাল জীবন। পরবর্তীতে ক্রাইম রেকর্ড ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে বই কমেনি। মাঝে কিছুদিন ইউএস এয়ারফোর্সে মেকানিক হিসেবে কাজ করার সুযোগ পেলেও অপরাধপ্রবণতার জন্য সেখানেও শাস্তি পেতে হয়। পরবর্তীতে "অনুমতি ছাড়া ছুটি কাটানোর অপরাধে" তাকে সম্মানজনকভাবে ছাটাই করে দেয়া হয়।

আর্মড রবারি, ট্রাক হাইজ্যাকসহ বিভিন্ন কারণে আবার পুলিশের হাতে ধরা পড়ে জেলে যেতে হয় বালজারকে। এ সময়টায় সিআইএর মাইন্ড কন্ট্রোল ড্রাগস নিয়ে গবেষণা প্রোগ্রাম এমকে আলট্রার সাথে যুক্ত করা হয় তাকে। এই গবেষণার সময়টায় বালজারকে এলএসডি সেবন করতে হয়েছিল বলে কথিত আছে।

৯ বছর জেল খাটার পর সাউথ বোস্টনে ফিরে আইরিশ মবের সাথে জড়িত হয়ে আবারো অপরাধজগতে পদার্পণ তার। মুভির গল্পটা শুরু হয়েছে মূলত এই সময় থেকে।

১৯৭২-র পর থেকেই মূলত সাউথ বোস্টনের ক্রাইম ওয়ার্ল্ড কন্ট্রোল চলে যায় বালজার ও তার সহযোগীদের তৈরি করা উইন্টার হিল গ্যাংয়ের হাতে। তবে লিটারেলি ব্যাপারটা অন্যরকম হয়ে ওঠে যখন এফবিআই বালজারকে তাদের নিজের ইনফরমান্ট হিসেবে মনোনীত করে। তৎকালীন পাত্রিয়ারকা ফ্যামিলির বিরুদ্ধে যুদ্ধে এফবিআইকে সাহায্য করার বিনিময়ে সারা শহরে যা খুশি তাই করার লাইসেন্স পেয়ে যায় বালজার তথা উইন্টার হিল গ্যাং।

রীতিমত উড়তে থাকার বালজারকে মাটিতে নামিয়ে আনার জন্য এফবিআইয়ে শুরু হয় ইন্টারনাল ইনভেস্টিগেশন। একের পর এক ধরা পড়তে থাকে মবস্টাররা। সাথে অন্যান্য ক্রাইম ফ্যামিলির মেম্বাররাও। এবং বালজারের সাথে ইনফরমেশন আদানপ্রদানের চুক্তিকারী ২ এফবিআই এজেন্টও ধরা পড়ে যায়। তাদের শাস্তিও হয়। তবে বুদ্ধিমান বালজার প্রথমে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও পরবর্তীতে ২০১১ সালে সান্তা মনিকা থেকে ধরা পড়ে। এখনও জেল খাটছে সে।

মুভিটা দেখার সময় জনি ডেপের চোখের দিকে খেয়াল করবেন। এটা আমার রিকমেন্ডেশন।

পার্সোনাল রেটিং - ৭.৫  

Friday, August 28, 2015

তিন কন্যা (২০১২)

IMDB Rating: 6.1 (from 54 users)
অভিনয়েঃ ঋতুপর্ণা, অনন্য, উন্নতি

নাম শুনেই বুঝতে পারছেন যে তিন নারীর গল্প এটা।

একজন একটা বেসরকারি নিউজ চ্যানেলে উপস্থাপিকা হিসেবে কাজ করেন,
একজন পুলিশের নিবেদিতপ্রাণ কর্মকর্তা
আর আরেকজন জীবনটাকে শুধুই উপভোগ করেন।

গল্পের শুরুটা প্রথম জনকে দিয়ে। স্বামীর গতিবিধির ওপর প্রবল সন্দেহ। তার কেন যেন সবসময় মনে হয় যে স্বামী অন্য কারও সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে আছেন। এই "অন্য কেউ" হচ্ছেন গল্পের একটা টুইস্ট।

২য় জন এক কুখ্যাত সমাজবিরোধীকে গ্রেফতার করে চারদিকের চাপে রীতিমত জেরবার। কিন্তু মাথা নোয়াবেন না কিছুতেই। এদিকে একটা ধর্ষণ কেস নিয়েও কিঞ্চিৎ প্রেসারে আছেন।

৩য় জন একটা ডিস্কোতে বন্ধুর জন্মদিন পালন করা শেষে এক মন্ত্রীর বিপথগামী ছেলে ও তার ২ বন্ধুর দ্বারা ধর্ষণের শিকার হন। পুলিশের কাছে গিয়েছেন, কিন্তু অভিযোগ নেয়া হয়নি।

এই তিনজনের জীবনের গল্পের টুইস্টেড কিছু টার্নিং নিয়েই এই মুভি।

কুখ্যাত সেই সমাজবিরোধীর মৃত্যু, ১ম জনের সন্দেহের অবসান, ধর্ষিতার অমোঘ বিচার পেয়ে যাওয়া আর নিবেদিতপ্রাণ পুলিশ অফিসারের সব কিছু থেকে মুক্তি পাওয়া - দেখবেন, একই সূত্রে গাঁথা।

দেখতে পারেন। সময়টা ভালই কাটবে আশা করি।

পার্সোনাল রেটিং - ৬.৭  

Monday, July 20, 2015

অগ্নি ২ (২০১৫)

(স্টার সিনেপ্লেক্স)
ধুমসে বৃষ্টি কয়েকদিন ধরে। ঈদের আগ থেকে শুরু হয়েছে মূলত। নিজের কিছু নর্মাল ও অ্যাবনর্মাল কাজের ফাঁকে প্ল্যান করেছিলাম যে বহুদিন পর এবার সিনেপ্লেক্সে মুভি দেখবো। "কোনটা দেখা যায়? কোনটা দেখা যায়??" করতে করতে শেষপর্যন্ত সিদ্ধান্ত হল অগ্নি ২ দেখবো। আমি, সাথে ৩ জন ফ্রেন্ড...
ঈদের ২য় দিন। প্ল্যান মোতাবেক চলে এলাম বসুন্ধরা। কিছুক্ষণ ওয়েট করার পর টিকেট হাতে নিয়ে ঢুকে পড়লাম "যাদুর গুহায়" (!)। আসলে হলে ঢোকার আলো আধারিতে মোড়ানো ওয়েটাকে আমার কেন যেন যাদুর গুহায় ঢোকার রাস্তা মনে হয়। একান্তই আমার ভাবনা। কারও সাথে না মিলে যাওয়াটাই স্বাভাবিক...
প্রথমে কিছু অ্যাড দেখলাম। ভাল লাগলো। অত বড় স্ক্রিনে অ্যাড দেখার মজাই আলাদা। ঠিক সামনের রো'তে দেখি একটা পিচ্চি বসে আছে। ও একটু পর পর ওর হাতের চুড়িগুলো খুলে নিয়ে সিটের হাতলের সামনে দেয়া গ্লাস হোল্ডারটার মধ্যে রাখে আর ওর বাবা সেগুলো আবার কালেক্ট করে নিয়ে ওর হাতে পড়িয়ে দেন। ঝাক্কাস।
মুভি স্টার্ট। প্রথমেই ধাক্কা। ডিরেক্টরের নাম কি "ইফতেকার চৌধুরী" নাকি "ইফতেখার চৌধুরী"? কারণ মুভি নেম লিস্টে প্রথমটা লেখা। এরপর শুরু একটা ক্রিশ্চিয়ান কবরখানার সিন। কোন স্পয়লার দেব না। নিজ দায়িত্বে দেখে নেবেন।
ধুম ধাম- ধুশ ধাশ উড়ে ইন্টারভ্যালে চলে এলাম। আলুভাজা কিনে এনে খেতে খেতে এবার শুরু ২য় অংশ। আরও ঝাক্কাস। কেন বলছি নিজে দেখলে বুঝতে পারবেন। তবে একটা ব্যাপার না বললেই নয়। দেখতে দেখতে হঠাৎ কোথা থেকে যে কোথায় চলে আসবেন নিজেও জানবেন না। এই এখানে তো এই ওখানে...
ক্যামনে কি? উহু বলব না। নিজে দেখলেই বুঝতে পারবেন।
এই মুভির সবচেয়ে ইম্পরট্যান্ট ফ্যাক্টস -
- চুম্মা।
- বিদেশীদের সাথে ধুমসে বাংলায় কথা বলা। এবং বিদেশীদের সেই বাংলা বোঝা।
- হুদা হুদি একটা সাউথ ইন্ডিয়ান চরিত্রের আনয়ন। মানুষটা এমনিতেই যথেষ্ট ভাল অভিনয় করেন। এখানে এমনটা না করলেও চলত।
- অমিত হাসান। ঝাক্কাস অভিনয়। তার বলা এক একটা ডায়ালগ শুনতে গিয়ে আমার এক একটা আলুভাজা শেষ।
বাকিটা "পর্দায় দেখিবেন"।
পার্সোনাল রেটিং - (কি দরকার)

Tuesday, June 30, 2015

ভাড়াটে (২০১৪)

আইএমডিবি রেটিং- ৬.৩ (২১ ভোট)
অভিনয়- ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, রাজদ্বীপ গুপ্ত, অরুণিমা ঘোষ

নিজের ভালবাসার মানুষকে নিয়ে সুখেই আছেন আপনি। হাসিঠাট্টা, খুনসুটিতে জীবনটা বেশ করে কেটে যাচ্ছে। ঘটনাচক্রে এমন সময় হঠাৎ করেই পেয়ে গেলেন পুরনো এক বিশাল বাড়ির মালিকানা। এদিকে আপনারা মানুষ মাত্র ২ জন। অন্যদিকে এত বড় বাড়ি... মেইনটেইন করতে গিয়ে তো হাঁড়ি ফাঁকা হয়ে যাবে। সো কি করা যায়? কি করা যায়?? হয় বাড়ির একটা অংশ বিক্রি করে দিতে হবে নয়ত ভাড়া দিতে হবে...

গল্পটা এই ভাড়াটে নিয়েই। খুব মিশুকে। সুন্দরী। তবে কোথায় যেন একটা “কিন্তু” আছে। একটু অন্যরকম...

কেমন সে ভাড়াটে, জানতে হলে দেখতে হবে মুভিটা।

মুভিটা ২০১৪ সালের। তবে অনেকদিন পর ঋতুপর্ণার মুভি দেখলাম। কিছু জায়গায় তার চোখের দৃষ্টি দেখে রোজা রমজানের দিনেও মনে করেন, দিল ধাক ধাক কারনে লাগা...

বাই দ্য রাস্তা, খুব ঝাক্কাস কিছু এক্সপেক্ট না করে দেখতে পারেন মুভিটা। সময় পাস করার জন্য ভাল একটা উপায় হতে পারে এটা।


পার্সোনাল রেটিং- ৬.২   

Thursday, June 25, 2015

A History of Violence (2005)

IMDB Rating: 7.5, Rotten Tomatoes: 87%
Cast: Viggo Mortensen, Maria Bello, Ed Harris

আমাদের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাল কোনটা?

এই প্রশ্নের উত্তরে রীতিমত ঝগড়া বেঁধে যাওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। তার কারণ কেউ বলবেন বর্তমানের কথা, কেউ পক্ষ নেবেন ভবিষ্যতের কেউবা অতীতকে আঁকড়ে ধরতে চাইবেন।

আসলে এই ৩ কালই একে অপরের সাথে সুন্দরভাবে সংযুক্ত। আপনি, আমি, আমরা কোনভাবেই এই ৩-এর চক্করের বাইরে নই। অতীতে আপনি যাই করুন না কেন, বর্তমানে তার প্রভাব পড়বেই এবং ভবিষ্যতে তার জন্য আপনাকে ফল ভোগ করতেই হবে। এর কোন মাফ নেই।

আমরা অনেকসময় চেষ্টা করি অতীতকে ভুলে গিয়ে বা মুছে ফেলার চেষ্টা করে বা ইগনোর করে বর্তমানের সাথে ভবিষ্যৎটাকেও নিরাপদ করে তুলতে... কিন্তু পারি না। কারণ সময় বড়ই বেরহম হয়।

এই মুভির স্টোরিটাও এরকম। প্রাক্তন ফিলাডেলফিয়া গ্যাংস্টার জোয়ি কুসাক নিজের নাম পরিচয় বদলে ফেলে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে সুখে শান্তিতে ঘর-সংসার করে যাচ্ছিলেন ছোট্ট এক শহরে। খাবারের দোকান আছে তার। ডাইনার। সবমিলিয়ে ভালই হচ্ছিল সব। হঠাৎ একদিন নিজের ডাইনারে ডাকাতি রুখতে গিয়ে হিরো বনে যান তিনি। টিভি, নিউজপেপারে ছবি প্রকাশ হয়ে যাওয়ার পর শুরু হয় আসল খেলা...

কুসাক বুঝতে পারেন, যে অতীত তিনি পেছনে ফেলে এসেছেন, সে অতীত এত সহজে তাকে ছাড়বে না।

দেখতে পারেন মুভিটা। ভাল লাগবে আশা করি।

পার্সোনাল রেটিং- ৭


Tuesday, June 23, 2015

Mad Max: Fury Road (2015)

IMDB Rating: 8.6, Rotten Tomatoes: 98%
Cast: Tom Hardy, Charlize Theron

“তেল গেলে ফুরাইয়া, বাত্তি যায় নিভিয়া
কি হবে আর কান্দিয়া?” (এখানে “তেল” বলতে আসলে সম্পদ বোঝানো হয়েছে)

এই সিরিজের আগের মুভিগুলো যারা দেখেছেন তাদের কাছে আদতে এমন মনে হতে পারে থিমটা। ধুন্ধুমার অ্যাকশন, মার মার কাট কাট অবস্থা, রাফ টাফ লুকস, সেই লেভেলের ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর আর অদ্ভুতুড়ে সব ভেহিকেলে তার থেকেও অদ্ভুতুড়ে সব রাইডার- সবমিলিয়ে এই সিরিজে এসবই উপভোগ করবেন আপনি। তবে...

যাদের কাছে মনে হচ্ছে “এই মুভির স্টোরি নেই”, তাদের বলছি...

আজকের এই পৃথিবীতে যা চলছে তার ধারাবাহিকতায় ভবিষ্যতের কথা একবার ভাবুন। আমাদের সিংহভাগ যুদ্ধের মেইন কারণ “সম্পদ”। হতে পারে সেটা প্রাকৃতিক অথবা অপ্রাকৃতিক। ক্ষমতা আর সম্পদের নেশায় মত্ত হয়ে নিজেদের বাসযোগ্য এই একটামাত্র পৃথিবীকে প্রতিনিয়ত নির্মমভাবে ধ্বংস করে যাচ্ছি আমরা। কিন্তু সবকিছুর তো একটা শেষ আছে। এই মুভিতে আপনি দেখবেন সেই শেষটা...

ভবিষ্যতের পৃথিবীতে নিজের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য কি করতে পারে মানুষ, আপনি তার একটা উদাহরণ এখানে পাবেন। গল্পটা ওখানেই...

আর কিছু না হয় নাই বললাম...


পার্সোনাল রেটিং- ৮.৩ 

Thursday, June 18, 2015

True Grit (2010)

IMDB Rating: 7.7, Rotten Tomatoes: 96%
Cast: Jeff Bridges, Matt Demon, Hailee Steinfeld
বুনো পশ্চিমের নিয়ম জানেন তো? 
চোখের বদলে চোখ, জীবনের বদলে জীবন...
এর কোন অদলবদল হবে না, যদি না ভিক্টিমের পরিবার বা কাছের মানুষগুলো অপরাধীদের ক্ষমা করে দেয়। তবে সবাই তো একরকম না। নিজের বাবার মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে চাওয়াটাও যে কারোর জন্য খুবই স্বাভাবিক...
তবে প্রতিশোধ যে নিচ্ছে সে যদি মাত্র ১৪ বছর বয়সী একটা বাচ্চা মেয়ে হয়, সেটা একটা ঘটনাই বটে। তৎকালীন বুনো পশ্চিমের পটভূমিতে একটা মেয়ে তার বাবার হত্যাকারীকে খুজে বের করে শাস্তি দেবে, এটা বিস্ময়করই ছিল। কিন্তু দুর্ধর্ষ, বদ্ধ মাতাল এক ইউএস মার্শাল ও সুযোগসন্ধানী এক টেক্সাস রেঞ্জারের সহায়তায় এই কাজটা আরও সহজ হয়ে যায় মেয়েটার জন্য...
তবে গল্পের ভেতরেও গল্প থাকে।
তার জন্য দেখতে হবে এই মুভিটা।
পার্সোনাল রেটিং- ৭.৮

Monday, June 1, 2015

Serpico (1973)

IMDB Rating: 7.8, Rotten Tomatoes: 90%
Cast: Al Pacino, John Randolph

সততা আদতে আপেক্ষিক একটা বিষয়।

পারিপার্শ্বিক অবস্থা যাই হোক না কেন, যদি আপনি চান তবে সৎ থাকতে পারেন, আর নয়ত নয়। নির্ভর করে একান্তই আপনার ওপর। তবে এখানে একটা “কিন্তু” আছে...

সম্পূর্ণ প্রতিকূল এক পরিবেশের সাথে লড়াই করতে করতে একটা সময় নিজের ওপর বিশ্বাস হারিয়ে ফেলা, জীবনের এক ক্রান্তিলগ্নে নিজেকে একদম একা আবিষ্কার করা আর দিনশেষে নিজের কাজ করার শান্তি মনের ভেতরে নিয়ে জীবনটাকে কাটিয়ে দেয়াটাও অ্যালাউড...

মুভিটা দেখতে পারেন। খারাপ লাগবে না আশা করি।


পার্সোনাল রেটিং- ৮  

Saturday, March 21, 2015

Once Upon A Time In Mumbaai (2010)

IMDB Rating: 7.4
Cast: Emraan Hashmi, Ajay Devgan, Randeep Hooda, Kangana Ranaut

মুম্বাই। সাবেক বোম্বে। আরব সাগরের তীরে অবস্থিত ইন্ডিয়ার সবচেয়ে আলোচিত শহরগুলোর মধ্যে অন্যতম। রঙিন বলিউড দুনিয়া আর উপমহাদেশের অন্ধকার সাম্রাজ্যের এক অদ্ভুত মিশেল আছে এই শহরে। তবে এটা কিন্তু একদিন-দু’দিনের ব্যাপার নয়। বহুদিনের পুরনো।

একটু একটু করে অরগানাইজড ক্রাইমের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হওয়া আজকের মুম্বাইয়ের এই অবস্থার উৎস খুজতে গেলে যেতে হবে বেশ খানিকটা পেছনে। সাউথ ইন্ডিয়া থেকে তৎকালীন বোম্বেতে আগত একটা ছোট ছেলে শুধুমাত্র নিজের অপরিমিত দুঃসাহসের জোরে মাত্র কয়েক বছরের মাথায় হয়ে ওঠে বোম্বের কার্যত ভাগ্যবিধাতা। মূলত ছোট এই ছেলেটার জীবনের গল্পের ছায়াই উঠে এসেছে এই মুভিতে।

হাজী মাস্তান। অথবা মাস্তান হায়দার মির্জা। যে নামেই ডাকুন না কেন আপনি, ’৬০, ’৭০-র দশকে এই মানুষটার অজান্তে বোম্বেতে কোন কিছুই ঘটতে পারত না। আর গল্পের ওই “ছোট ছেলে”-টা আসলে এই হাজী মাস্তান। তীক্ষ্ণ বুদ্ধি আর সাধারণ মানুষের মনে ঢুকিয়ে দেয়া অপরিমেয় ভয়ের ওপর ভর করেই বোম্বের রীতিমত অঘোষিত শাসনকর্তা হয়ে উঠেছিলেন ইনি। নিজের ডানহাত হিসেবে এই সময় পেয়েছিলেন কিংবদন্তীসম আরেক মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহিমকে। কিন্তু এক বনে তো দুই বাঘ থাকতে পারে না। অনিবার্য ক্ষমতার লড়াইয়ের একটা পর্যায়ে দাউদের হাতেই মারা যান হাজী মাস্তান। এই ঘটনাকে বলা হয় ইন্ডিয়ার ইতিহাসে “সবচেয়ে বড় বিশ্বাসঘাতকতা”।

এর ওপর ভিত্তি করেই মুভির গল্প।

আশা করি ভালই লাগবে।
দেখতে পারেন।


পার্সোনাল রেটিং- ৭    

Friday, March 6, 2015

Kaun (1999)

IMDB Rating: 7.7
Cast: Urmila Matondkar, Manoj Bajpayee, Sushant Singh

বাসায় কেউ নেই। একলা ঘরে সুন্দরী এক মেয়ে। কাপা-কাপা গলায় ফোনে মায়ের সাথে কথা বলছে। অনুনয় করছে যেন মা জলদি ফিরে আসেন। কারণ এই ঝড়ের রাতে একলা বাড়িতে ভয় লাগছে তার।

তীব্র বাতাসে আর বাজের আওয়াজে রীতিমত নারকীয় অবস্থা চারদিকে। সামান্য আওয়াজেই চমকে যাচ্ছে মেয়েটা। নিজের বেডরুমে গিয়ে ইজি চেয়ারে বসে নিজেকে একটু ইজি করতে করতেই তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে গেল সে। আর শুরু হল দুঃস্বপ্ন... তার চারপাশে অজানা বহু মানুষ... বাড়ির দরজা ভেদ করে লোমশ ২ হাত তার গলাটা টিপে দিচ্ছে...

আতঙ্কিত হয়ে তন্দ্রা ছুটে গেল মেয়েটার।

এরই মাঝে আবিষ্কৃত হল যে সে আসলে একা নয়। তার অতিপ্রিয় বিড়ালটা বিছানার নিচেই ছিল। হাফ ছেড়ে বাঁচল যেন মেয়েটা। অন্তত একটা প্রাণী তো আছে। খিদে অনুভূত হওয়ায় নিজের জন্য স্যান্ডউইচ বানাতে গিয়ে হঠাৎ কলিংবেলের আওয়াজ।

এই দুর্যোগের মাঝে কে এলো আবার?  

ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে মেয়েটা লুকিংগ্লাসে দেখতে পেল এক লোককে। যে কিনা কোন এক মি. মালহোত্রাকে খুজছে। কিন্তু এ বাড়ি তো মি. গুপ্তর। এখানে তো মালহোত্রা বলে কেউ থাকে না...

ঘটনার শুরু এখান থেকেই। রামগোপাল ভার্মা যে এরকম এই পিস বানিয়ে রেখেছেন সেটা সাকিব না বললে জানতামই না। থ্যাংকস ম্যান।

দুর্দান্ত সাসপেন্স, থ্রিল এবং অভিনয় মুভিটাকে অন্য এক মাত্রা দিয়েছে। পুরো সময় জুড়ে আপনাকে আটকে রাখতে বাধ্য এই মুভি। আর ক্লাইম্যাক্সটা পাবেন একদম শেষের দিকে... এমন কিছু যা আপনি কল্পনাই করতে পারেন নি... 

দেখতে পারেন। আশা করি ভাল লাগবে।


পার্সোনাল রেটিং- ৭.৮  

Friday, February 27, 2015

Loft (2008)

IMDB Rating: 7.5, Rotten Tomatoes (Audience Score): 81%
Cast: Filip Peters, Koen De Bouw

যদি জিজ্ঞেস করা হয় “কেমন চলছে জীবনযাত্রা?”- প্রায় সবক্ষেত্রেই উত্তরটা হবে “এইতো” টাইপ। কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে- এই একইরকম দিনযাপন আদতে কারই কাম্য নয়। স্বীকৃত বা অস্বীকৃত, যাই হোক না কেন- জীবনে “টুইস্ট” সবাই চায়। একঘেয়ে, নিয়মতান্ত্রিক জীবনযাত্রার বাইরে কিঞ্চিৎ অন্যরকম জীবনযাপনের ইচ্ছে আপনার- আমার, সবার মাঝেই বিদ্যমান।

উদাহরণস্বরূপ ধরুন- মাঝে মাঝে দুম করে কোন এক বন্ধুর বাসায় রাত কাটিয়ে দেয়া, আর পরদিন সকালে উস্কখুস্ক অবস্থায় আবার নিজের ডেরায় ফিরে আসা- এও কিন্তু টুইস্ট...

বন্ধু হচ্ছে এমন একটা চরিত্র- আপনি যা খুশি করেন না কেন, বিনা দ্বিধায় যে কিনা আপনাকে সমর্থন করবে, নিয়মতান্ত্রিক এই জীবনধারা থেকে আপনাকে অনায়াসে বের করে নিয়ে আসবে, আপনার গোপনীয়তা রক্ষা করবে। তবে মুদ্রার কিন্তু আরেকটা পিঠও আছে...

এই মুভির গল্পটা এমনই ৫ জনের একটা বন্ধুমহল নিয়ে।

৫ জন ৫ রকম। কিন্তু বন্ধুত্বে সবাই এক। এরমাঝেও একজন একটু আলাদা। নিজেদের জীবনে একটু বাধাহীনতা আনার জন্য শহরের এক প্রান্তে “রুফটপ” একটা ফ্ল্যাট যোগাড় করে সে। ৫ জনের প্রত্যেকের কাছেই যার চাবি থাকবে। যে যা খুশি তাই করতে পারবে এই ফ্ল্যাটে। মুভি দেখলে বুঝবেন- ফ্ল্যাটটা আদতে আমাদের বহুল আলোচিত “লিটন ভাইয়ের ফ্ল্যাট”-র মতই কর্মকাণ্ডে ভরপুর।
ভালই কেটে যাচ্ছিল সময়। হঠাৎ একদিন এক বন্ধু ফ্ল্যাটে ঢুকেই আবিষ্কার করল এক তরুণীর মৃতদেহ...

চাবি তো থাকে ওদের ৫ জনের কাছেই। তাহলে এই মেয়ে কিভাবে এখানে এলো? মরলই বা কেন, কিভাবে...? প্রশ্নের উত্তর পেতে হলে মুভিটা দেখতে হবে।

বন্ধুত্ব, অবিশ্বাস, প্রেম আর রহস্যে মোড়ানো একটা প্যাকেজ বলতে পারেন এটাকে।

যদি মনে করেন এটাই স্টোরি- ট্রাস্ট মি, ভুল করবেন। আরও বহুত কিছু বাকি আছে...

বেলজিয়ান মুভি। মনে হয় না আপনার সময় নষ্ট করবে। সো দেখতে পারেন।


পার্সোনাল রেটিং- ৭.৭      

Monday, February 23, 2015

Rakhta Charitra- রক্ত চরিত্র ১ ও ২ (২০১০)

IMDB Rating: 7.5, 6.2
Cast: Vivek Oberoi, Suriya, Shatrughan Sinha, Radhika Apte

সন্ত্রাস- অপরাধ হচ্ছে ইতিহাসের মত। বার বার ঘুরে ফিরে আসে। বলতে পারেন একধরণের চক্রব্যূহ। আমাদের জিনের ভেতরেই অপরাধপ্রবণতা আছে। কারও কারও ক্ষেত্রে এর মাত্রা কম- বেশি হয়।

অনন্তপুরম। ইন্ডিয়ার অন্ধ্র প্রদেশের অন্তর্গত একটা পাহাড় ঘেরা মোটামুটি দুর্গম এলাকা। ’৭০ থেকে ’৮০-র দশকে এই এলাকায় ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনার ওপর ভিত্তি করে নির্মিত হয়েছে এই মুভি।

এই এলাকার ৫ বারের নির্বাচিত এমএলএ পারিতালা রবীন্দ্রকে কেন্দ্র করে মুল ঘটনা। পারিতালার বাবা ছিলেন নকশালপন্থী নেতা। ১৯৭৫ সালে কংগ্রেসপন্থী ২ নেতার যোগসাজশে এক হামলায় প্রাণ হারাতে হয় তাকে। সৌভাগ্যক্রমে সেই হামলা থেকে বেঁচে যান পারিতালা ও তার ভাই।

শেল্টার নিতে নিতেই ভাইয়েরও মৃত্যু হয়, যা কিনা প্রতিশোধ নিতে পারিতালাকে উদ্বুদ্ধ করে। তার বিরুদ্ধে বেশ ক’টি হত্যার অভিযোগ পরবর্তীতে আসলেও বহাল তবিয়তে তেলেগু দেশম পার্টিতে যোগদানের মধ্য দিয়ে তিনি হয়ে যান এলাকার এমএলএ।

এবার প্রথম কথায় আবার ফিরতে হবে- সন্ত্রাসের ফিরে আসা...
২০০৫ সালে সেই পুরনো শত্রুতার জেরেই এক হামলায় মৃত্যুবরণ করেন পারিতালা রবীন্দ্র।

এই চরিত্রে অসামান্য অভিনয় করেছেন বিবেক ওবেরয়।

আর সাপোর্টিং চরিত্রগুলোতেও ভাল অভিনয় করেছেন বাকিরা...

পার্সোনাল রেটিং যথাক্রমে- ৭.২, ৬.৭

বামের ছবিগুলো মুভি পোস্টার। ডানের ছবিটা পারিতালা রবীন্দ্রর।


Sunday, February 22, 2015

The Boxtrolls (2014)

IMDB Rating: 6.9, Rotten Tomatoes: 75%
Voices: Ben Kingsley, Elle Fanning, Isaac Hampstead

ট্রল সম্পর্কে যদি আইডিয়া না থাকে- তবে আগে বলে নেই—
ট্রল মূলত নরওয়ের দিকের রুপকথাভিত্তিক মনুষ্য জাতিবিশেষ। যারা কিনা মাটির নিচের বা পার্বত্য গুহায় বসবাস করে। নিশাচর। হিংস্র। মাংসাশী। অনেকে দাবী করেন যে তারা সত্যিকারের ট্রল দেখেছেন। এমনকি ট্রলের ওপর অনেক ডকুও আছে। চাইলে দেখতে পারেন...

এবার আসি মুভির গল্পে।

চিজব্রিজ। পাহাড়ের গায়ে গড়ে ওঠা এক শহর। শান্ত সুনিবিড় জীবনযাপন সবার। তবে মাটির নিচে থাকা ট্রলের বসবাস এই শহরের বাসিন্দাদের কিঞ্চিৎ ঝামেলা করে। ট্রলরা মাংসাশী, মাটির নিচে ওদের রক্তের ঝর্ণা আছে, ওরা ছোট ছোট বাচ্চাদের ধরে নিয়ে খেয়ে ফেলে ইত্যাদি আজিব সব কথাবার্তায় আতঙ্কিত হয়ে সন্ধ্যার পর কেউ ঘরের বাইরে পারতপক্ষে পা রাখে না। এরইমাঝে একদিন দুর্ঘটনাবশত এক বাচ্চা একটা ট্রলের হাতে এসে পড়ে। এবং মাটির নিচে বহাল তবিয়তেই বড় হতে থাকে। পরবর্তীতে বাচ্চাটা সারা শহরের কাছে প্রমাণ করে যে ট্রলরা আসলে হিংস্র না। ওরা আদতে মানুষের বিশ্বাসের একদম উল্টো...

মুভিটার অন্তর্নিহিত ব্যাপারটা অন্যখানে- ক্ষমতালোভীদের নিরীহ মানুষের ওপর চিরায়ত অত্যাচার ও একটা সময় মানুষের রোষানলে পুড়ে অঙ্গার হওয়া- এটা খুজে পাবেন আপনি এই মুভিতে।

দেখতে পারেন। আশা করি ভাল লাগবে।


পার্সোনাল রেটিং- ৭.৩ 

Monday, February 16, 2015

Training Day (2001)

IMDB Rating: 7.7, Rotten Tomatoes: 72%
Cast: Denzel Washington, Ethan Hawk, Eva Mendes

সমাজ এমন একটা জায়গা, যেখানে নানা বর্ণের-টাইপের-মানসিকতার মানুষ একসাথে বসবাস করে। হাড়ি- পাতিল একখানে রাখলে যেমন ঠোকাঠুকি হয়, তেমনি এই সমাজে বসবাসরত কতিপয় অসামাজিক মানুষকে সিধা রাখার জন্য আছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

তবে সর্ষের ভেতর যেমন ভুত থাকতে পারে, তেমনি এই রক্ষাকারী বাহিনীর ভেতরেও অনেকসময় অসামাজিকরা আখড়া গড়ে তোলে।

লস-এঞ্জেলেস পুলিশ ডিপার্টমেন্টের এমনই এক পাপীকে নিয়ে এই গল্প। নিজের ক্ষমতার যথেচ্ছ ব্যাবহার করে যে কিনা খুন, ডাকাতি, ব্ল্যাকমেইলসহ মোটামুটি যা খুশি তাই করে যায় পুরো শহরে। অদ্ভুতভাবে এরই সাথে এক সৎ ক্যাটাগরির পাবলিক জোটে। পুলিশের নারকোটিক্স ডিপার্টমেন্টে কাজ করার ইচ্ছে ও চেষ্টা যার ১৯ মাস ধরে...

অনেক ঘাত- প্রতিঘাত পেরিয়ে শেষ পর্যন্ত নিজের খোঁড়া গর্তে নিজেই মরে সেই পাপী।

ডেনজেল ওয়াশিংটন ও ইথান হকের অভিনয় মুভিটাকে অন্য মাত্রা দিয়েছে...
সাথে বোনাস হিসেবে ইভা মেন্ডেসকে তো পাচ্ছেনই...

দেখতে পারেন। আশা করি হতাশ হবেন না।


পার্সোনাল রেটিং- ৭.৯   

Thursday, February 12, 2015

খাদ (2014)

IMDB Rating: 7.8
Cast: রুদ্রনীল, কৌশিক, মিমি, গার্গী, তনুশ্রী

প্রত্যেকের জীবনেরই একটা না একটা গল্প আছে। আলাদা আলাদা ভিন্ন স্বাদের গল্প। অমিল আর মিল- দুটোই আছে। কেউ খুজে বের করতে পারে, কেউ পারে না। সিম্পল।

কোন কোন সময় গল্পটা হয়ত স্বল্প পরিচিত কিন্তু বিশ্বাসভাজন কাউকে নির্দ্বিধায় বলে ফেলা যায়। মানুষের অদ্ভুত মনের এই এক অদ্ভুত কারবার...  

এই ব্যাপারটা নিয়েই মুভির গল্প।

বেড়াতে গিয়ে দুর্ঘটনায় একই সাথে আটকা পড়েন বিভিন্ন শ্রেণী পেশার কিছু মানুষ। মোটামুটি বাধ্য হয়েই একটি রাত একত্রে থাকতে হয় তাদের। অর্থপূর্ণ সে রাতে অপরিচিত অথচ বিশ্বাসী এই মানুষগুলোর জীবনের গোপন সত্যগুলো ঘটনাচক্রে সবার সামনে একের পর এক বেরিয়ে আসতে থাকে।

রাতের গভীরে জীবনের অন্ধকার সত্যগুলো যেন খাদের গর্ভে চিরদিনের জন্য চাপা পড়ে যায়...

আর মুভির একদম শেষের দিকে অদ্ভুত এক মোড়।

জানতে হলে দেখতে হবে।

পার্সোনাল রেটিং- ৭  

    

Shah Jahan Regency (2019)

Shah Jahan Regency (2019) কলকাতার বাংলা মুভি। পরিচালনা - সৃজিত মুখারজি অভিনয়ে - স্বস্তিকা, অনির্বাণ, ঋতুপর্ণা, আবীর, পরমব্রত ...