জুলিয়াস সিজারকে জানেন? চেনেন?
রোমান সাম্রাজ্যের সবচেয়ে প্রভাবশালী ও বিখ্যাত চরিত্রগুলোর মধ্যে অন্যতম এই মানুষটির নামে ইংরেজি বছরের জুলাই মাসের নামকরণ হয়েছে বলে অনেকে মনে করেন।
রোমান সাম্রাজ্যের সবচেয়ে প্রভাবশালী ও বিখ্যাত চরিত্রগুলোর মধ্যে অন্যতম এই মানুষটির নামে ইংরেজি বছরের জুলাই মাসের নামকরণ হয়েছে বলে অনেকে মনে করেন।
প্রশ্ন করতে পারেন যে কলকাতার একটা মুভি সম্পর্কে বলতে গিয়ে কেন সিজারকে টেনে আনলাম। কারণ আছে বস... জুলফিকার নামের এই মুভি সম্পর্কে বলতে গেলে জুলিয়াস সিজারের সম্পর্কে একটু ধারণা থাকা দরকার আপনার। লেট মি হেল্প ইউ দেন...
জুলিয়াস সিজার যখন রোমান সাম্রাজ্যের ক্ষমতার চূড়ান্ত সীমায় অধিষ্ঠিত, তখন তিনি নিজেকে ঈশ্বর হিসেবে জাহির করতেন। রোমের পথে প্রান্তরে তার মূর্তির কাছে প্রার্থনা করার জন্য জনগণকে বাধ্য করা হত। সাম্রাজ্যের পরিধি বাড়ানোর লক্ষ্যে নিজের সেনাবাহিনীকে বহুদূর পর্যন্ত বিস্তৃত করেছিলেন তিনি। মিশরের কিংবদন্তী রাণী ক্লিওপেট্রাকেও বশে এনেছিলেন নিজের পাহাড়সম ব্যক্তিত্বে। দিয়েছিলেন অমর বাণী, “ভিনি ভিডি ভিসি” অর্থাৎ এলাম দেখলাম জয় করলাম।
কলকাতার ভেতরে আরেক কলকাতা তৈরি করে পোর্ট এলাকার ভাগ্য বিধাতা হয়ে ওঠা এক বিশাল অপরাধী চক্রের পাপেট মাস্টার জুলফিকারও নিজ এলাকায় ছিলেন জুলিয়াস সিজারের মত প্রচণ্ড শক্তিমান। ক্রাইম ফ্যামিলিতে অনেকগুলো মাথা থাকলেও মূলত সবকিছু হত জুলফিকারের ইশারায়। এককভাবে এত ক্ষমতা কারই বা সহ্য হয়? তাই যা ঘটার তাই ঘটলো। সিজারকে যেমন তার বিশ্বস্ত সঙ্গীরাই খুন করেছিলেন তেমনি ভাগ্যবরণ জুলফিকারের। কিন্তু পাশার দানটা উল্টে গেল আচমকাই। চাচার মৃত্যুর বদলা নিতে গিয়ে ভাতিজা হয়ে উঠলেন এলাকার নতুন বিধাতা। গল্পের মোড় এখানেই...
অ্যান্টনি ক্লিওপেট্রার কিংবদন্তীসম প্রেমের উপাখ্যানের ছোঁয়া এখানে পাবেন মারকাজ ও রাণীর মাঝে। বন্ধুত্ব ও বিশ্বাসঘাতকতার উদাহরণ পাবেন বশির ও জুলফিকার এবং টনি ও মারকাজের মাঝে। দেব ও পরমব্রত নিজেদের ভেঙ্গে আবার গড়েছেন। প্রসেঞ্জিতের ব্যাপারে কিছু বলার নেই। কৌশিক ও যীশুর অভিনয় জাস্ট অন্যরকম। আর গানের কথা না হয় নাই বলি।
দেখতে পারেন। গল্প দ্রুত এগিয়ে যাওয়ার কারণে খেই হারিয়ে ফেলতে পারেন তবে, মুভিটা আমার কাছে ভাল লেগেছে।
পার্সোনাল রেটিং – ৬.৭
No comments:
Post a Comment