(স্টার সিনেপ্লেক্স)
ধুমসে বৃষ্টি কয়েকদিন ধরে। ঈদের আগ থেকে শুরু হয়েছে মূলত। নিজের কিছু নর্মাল ও অ্যাবনর্মাল কাজের ফাঁকে প্ল্যান করেছিলাম যে বহুদিন পর এবার সিনেপ্লেক্সে মুভি দেখবো। "কোনটা দেখা যায়? কোনটা দেখা যায়??" করতে করতে শেষপর্যন্ত সিদ্ধান্ত হল অগ্নি ২ দেখবো। আমি, সাথে ৩ জন ফ্রেন্ড...
ঈদের ২য় দিন। প্ল্যান মোতাবেক চলে এলাম বসুন্ধরা। কিছুক্ষণ ওয়েট করার পর টিকেট হাতে নিয়ে ঢুকে পড়লাম "যাদুর গুহায়" (!)। আসলে হলে ঢোকার আলো আধারিতে মোড়ানো ওয়েটাকে আমার কেন যেন যাদুর গুহায় ঢোকার রাস্তা মনে হয়। একান্তই আমার ভাবনা। কারও সাথে না মিলে যাওয়াটাই স্বাভাবিক...
প্রথমে কিছু অ্যাড দেখলাম। ভাল লাগলো। অত বড় স্ক্রিনে অ্যাড দেখার মজাই আলাদা। ঠিক সামনের রো'তে দেখি একটা পিচ্চি বসে আছে। ও একটু পর পর ওর হাতের চুড়িগুলো খুলে নিয়ে সিটের হাতলের সামনে দেয়া গ্লাস হোল্ডারটার মধ্যে রাখে আর ওর বাবা সেগুলো আবার কালেক্ট করে নিয়ে ওর হাতে পড়িয়ে দেন। ঝাক্কাস।
মুভি স্টার্ট। প্রথমেই ধাক্কা। ডিরেক্টরের নাম কি "ইফতেকার চৌধুরী" নাকি "ইফতেখার চৌধুরী"? কারণ মুভি নেম লিস্টে প্রথমটা লেখা। এরপর শুরু একটা ক্রিশ্চিয়ান কবরখানার সিন। কোন স্পয়লার দেব না। নিজ দায়িত্বে দেখে নেবেন।
ধুম ধাম- ধুশ ধাশ উড়ে ইন্টারভ্যালে চলে এলাম। আলুভাজা কিনে এনে খেতে খেতে এবার শুরু ২য় অংশ। আরও ঝাক্কাস। কেন বলছি নিজে দেখলে বুঝতে পারবেন। তবে একটা ব্যাপার না বললেই নয়। দেখতে দেখতে হঠাৎ কোথা থেকে যে কোথায় চলে আসবেন নিজেও জানবেন না। এই এখানে তো এই ওখানে...
ক্যামনে কি? উহু বলব না। নিজে দেখলেই বুঝতে পারবেন।
এই মুভির সবচেয়ে ইম্পরট্যান্ট ফ্যাক্টস -
- চুম্মা।
- বিদেশীদের সাথে ধুমসে বাংলায় কথা বলা। এবং বিদেশীদের সেই বাংলা বোঝা।
- হুদা হুদি একটা সাউথ ইন্ডিয়ান চরিত্রের আনয়ন। মানুষটা এমনিতেই যথেষ্ট ভাল অভিনয় করেন। এখানে এমনটা না করলেও চলত।
- অমিত হাসান। ঝাক্কাস অভিনয়। তার বলা এক একটা ডায়ালগ শুনতে গিয়ে আমার এক একটা আলুভাজা শেষ।
- বিদেশীদের সাথে ধুমসে বাংলায় কথা বলা। এবং বিদেশীদের সেই বাংলা বোঝা।
- হুদা হুদি একটা সাউথ ইন্ডিয়ান চরিত্রের আনয়ন। মানুষটা এমনিতেই যথেষ্ট ভাল অভিনয় করেন। এখানে এমনটা না করলেও চলত।
- অমিত হাসান। ঝাক্কাস অভিনয়। তার বলা এক একটা ডায়ালগ শুনতে গিয়ে আমার এক একটা আলুভাজা শেষ।
বাকিটা "পর্দায় দেখিবেন"।
পার্সোনাল রেটিং - (কি দরকার)